মুরাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে সাইবার অপরাধ বিভাগ
অশালীন ও শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্যের জেরে সদ্য পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এবং সাবেক সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার রাজধানীর শাহবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ঢাবি শিক্ষার্থীর করা ওই অভিযোগটি আজ বুধবার সাইবার ক্রাইম বিভাগে পাঠানো হবে।
ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে থানায় যে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে, তা তদন্ত করবে পুলিশের সাইবার অপরাধ বিভাগ। খবর বিবিসি। শাহবাগ থানার ওসি মওদুদ হাওলাদার বিবিসিকে বলেন, মঙ্গলবার রাতে ‘বিকৃত যৌনাচার ও বিদ্বেষমূলক’ বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে একটি জিডি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের কটাক্ষ করে অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে হেয় করে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী একটি অভিযোগ নিয়ে আসেন।‘আমরা সেটিকে সাধারণ ডায়েরি হিসেবে নিয়েছি। এখন এটি সাইবার ক্রাইম বিভাগে তদন্তের জন্য পাঠানো হবে। তদন্ত সাপেক্ষে আমরা সিদ্ধান্ত নেব এটি মামলা হিসেবে গণ্য করা হবে কিনা।’
ঢাবির সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শিক্ষার্থী সিজার অভিযোগে বলেন, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের নাহিদ রেইন্স নামক ফেসবুক পেজে গত ৫ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বিকৃত যৌনাচার ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ দেখতে পাই। যাতে স্পষ্ট করে উল্লেখ করেন— ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রস্রাব করার সময়ও আমার নাই’।
এতে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে দেশের সর্বপ্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠকে তিনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাচ্ছিল্য করেছেন।’ ঢাবির রোকেয়া হল এবং শামসুন্নাহার হলের নারী শিক্ষার্থীদের চরিত্র হননের অপচেষ্টা করে মুরাদ হাসান বলেন, ‘তারা রাতে নিজেদের হলে অবস্থান না করে বিভিন্ন পাঁচতারকা হোটেলে গিয়ে রাত্রিযাপন করে।’ এই বাক্য দিয়ে তিনি (মুরাদ হাসান) ঢাবির নারী শিক্ষার্থীদের চরিত্র হননের অপচেষ্টা করেছেন।