আবরার হ’ত্যা মা’মলাঃ রায় মেনে নিতে পারছেন না আ’সামিদের স্বজনরা
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদ হ’ত্যা মা’মলায় ২০ জনকে ফাঁ’সির রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে তার মা রোকেয়া খাতুন। তবে রায় দ্রুত বাস্তবায়ন এবং অমিত সাহাসহ বাকি পাঁচজনের মৃ’ত্যুদ’ণ্ডের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ১-এর বিচারক আবু জাফর মোহাম্ম’দ কাম’রুজ্জামানের আ’দালত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হ’ত্যা মা’মলার রায়ের পর যাব’জ্জীবন সাজা’প্রাপ্ত আ’সামি অমিত সাহার মা দেবী রানী সাহা অসন্তোষ প্রকাশ করেন বলেন ‘আমা’র ছে’লে ঘটনা সময় ছিল না। সে নেত্রকোনার বাড়িতে যায়। তার অ’প’রাধ সে ছাত্রলীগ করতো।’
দেবী রানী আরও বলেন, ‘গণমাধ্যমের চাপে আমা’র ছে’লেকে গ্রে’ফতার করা হয়েছে। তাকে জড়ানো হয়েছে। সে নাকি শুধু মেসেঞ্জারে কথা বলেছে, এজন্য যাব’জ্জীবন! আশা করেছিলাম অমিত খালাস পাবে।’
যাব’জ্জীবন সাজা’প্রাপ্ত অ’পর আ’সামি মুয়াজ আবু হুরায়রাও রায় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তার বাড়ি কি’শোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে। রায় শুনতে তার মা আ’দালতেই ছিলেন। মুয়াজ বুয়েটের ইইই বিভাগের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র। তার মা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মুয়াজ আবরারকে বাঁ’চানোর চেষ্টা করেছে। টাকা খরচ করে ওষুধ, স্যালাইন কিনেছে। তাকেই যাব’জ্জীবন সাজা দেওয়া হলো।’
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পি’টিয়ে হ’ত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় পরের দিন ১৯ জনকে আ’সামি করে চকবাজার থা’নায় মা’মলা করেন আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ। ওই বছরের ১৩ নভেম্বর ২৫ জনকে অ’ভিযু’ক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মা’মলার ত’দন্ত কর্মক’র্তা গোয়েন্দা পু’লিশের (ডিবি) ঢাকা মহানগর দক্ষিণের পরিদর্শক ওয়াহেদুজ্জামান।