আলোচিত সংবাদ

জাঁকালো আয়োজনে আল আমিন-শাম্মির বিয়ে

ফুল-রঙিন কাগজ দিয়ে সাজানো হয় বর-কনের বাড়ি। দুইদিন ধরে চলে অনুষ্ঠান। প্রতিবেশীদের মধ্যে বিতরণ করা হয় মিষ্টি। গান-বাজনা, হৈ-হুল্লোড় কোনো আয়োজনেরই ছিল না কমতি।

আমন্ত্রিত অতিথি ছাড়াও বর-কনেকে দেখতে কৌতূহলী মানুষের ভিড় জমে যায়। এভাবেই ধুমধাম এবং আনন্দের মধ্য দিয়ে বিয়ে হয় আল আমিন ও শাম্মি আক্তারের। পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ছিল কনে তুলে দেওয়ার অনুষ্ঠান।

সেখানে বরসহ দেড় শতাধিক অতিথিকে আপ্যায়ন করা হয়। এর আগে বিয়ে হয় কনের বাড়িতে। বিয়েতে এক লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করা হয়।কনে শাম্মি আক্তার (২০) উপজেলার ইন্দুরহাট বন্দরের ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী ও সোহাগদল গ্রামের বাসিন্দা মো. শাহজাহানের মেয়ে।

আর বর একই উপজেলার উত্তর শর্ষিনা গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে মো. আল আমিন।কনের স্বজনরা জানান, বয়স অনুপাতে শাম্মি আক্তারের শরীরের গঠন বাড়েনি। সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন তিনি। এরপর নানা কারণে আর বিদ্যালয়ে যাওয়া হয়নি। বেশ কিছুদিন ধরে শাম্মিকে বিয়ে দেওয়ার চিন্তা করছিলেন তার বাবা-মা। তবে খর্বাকৃতি মেয়েকে কে বিয়ে করবে? সেই চিন্তায় ডুবেছিলেন শাম্মির অভিভাবকরা। বিষয়টি নিয়ে এক প্রতিবেশীর সঙ্গে কথা বললে একজন-দুজন করে অনেকেই শোনেন এ কথা।

এর মধ্যে শাম্মির মতো খর্বাকৃতি মো. আল আমিনের খোঁজ পান তারা।বরের স্বজনরা জানান, কনের পরিবারের মতো আল আমিনের বিয়ে নিয়ে তারাও ছিলেন দুশ্চিন্তায়। এরই মধ্যে কনের খোঁজ পেয়ে যান। এরপর ছেলেমেয়ে উভয় দেখে পছন্দ করেন। অবশেষে অভিভাবকদের সম্মতিতে হয় বিয়ে।বর-কনের স্বজনরা জানান, আল আমিন ও শাম্মির উচ্চতা মেপে দেখা হয়নি।

তবে বরের উচ্চতা তিন ফুটের বেশি হবে না। কনের উচ্চতা তার চেয়েও কম। এদিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেলে বরের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় কনেকে।স্বরূপকাঠি সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) দেব কুমার সমদ্দার বলেন, আল আমিন ও শাম্মির পরিবার তাদের বিয়ে নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন। অবশেষে বিয়ে হওয়ায় তারা চিন্তামুক্ত হয়েছেন। এখন বর-কনের পরিবার খুশি।

Related Articles

Back to top button
error: Alert: Content is protected !!