আলোচিত সংবাদ

মেয়ে বাঁচতে মিনতি করেছিল, মন গলেনি ওদের: এলমার বাবা

আমার মেয়ে বাঁচার জন্য মিনতি করেছিল কিন্তু ঘাতকদের মন গলেনি। ওরা আবার মেয়েকে মেরেই ফেললো।’ বুধবার (২২ ডিসেম্বর) আদালত প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে এমনটাই বলছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী এলমা চৌধুরীর বাবা সাইফুল ইসলাম।

সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমার মেয়ের কী অন্যায় ছিল। কেনো ওরা আমার মেয়েকে তিন দিন পৈশাচিক নির্যাতন করে খুন করলো। এলমা বাঁচার জন্য আকুতি করেছিল। কিন্তু আসামিদের মন গলেনি। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই।’তিনি বলেন, ‘ওরা আমাদের ফোন করে জানায় এলমা অসুস্থ। হাসপাতালে গিয়ে দেখি আমার মেয়েকে পৈশাচিকভাবে পেটানো হয়েছে। যারা আমার মেয়েকে খুন করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

এলমার মামা শিল্পী চৌধুরী বলেন, এলমার হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই। প্রধান আসামি ইফতেখারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু সে কিছু বলছে না। ওর বাবা-মাকে গ্রেপ্তার করলে সব রহস্য উদঘাটন হবে। আমি চাই সব আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হোক এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক।এদিকে আজ দুপুরে ইফতেখার আবেদীনকে আদালতে হাজির করে তৃতীয় দফায় ৩ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

আদালত শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। এর আগে ১৫ ডিসেম্বর তিন দিন এবং ১৯ ডিসেম্বর ইফতেখারের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

উল্লেখ্য, গত ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে রাজধানীর বনানীতে স্বামীর বাসায় মারা যান এলমা। তার শরীরে আঘাতের অনেক চিহ্ন দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন সহপাঠীরা। তবে এলমার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির মানুষের দাবি তিনি আত্মহত্যা করেছেন।এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই এলমার বাবা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় এলমার স্বামী ইফতেখার আবেদীন, শ্বশুর মো. আমিন ও শাশুড়ি শিরিন আমিনকে আসামি করা হয়।

Related Articles

Back to top button
error: Alert: Content is protected !!