হুবহু মানুষের মত পরিষ্কার ভাষায় কথা বলছে ছোট্ট টিয়া পাখি, তুমুল ভাইরাল ভিডিও
সোশ্যাল মিডিয়ার বাংলা অর্থ হলো সামাজিক মাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। অর্থাৎ তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে যেসকল মাধ্যম ব্যবহার করে একটি ভার্চুয়াল কমিউনিটি বা কৃত্তিম সমাজ গড়ে তোলা যায় তাকেই মূলত সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক মাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলা হয়।
ফেসবুক ,হোয়াটসঅ্যাপ, ইন্সট্রাগ্রাম, টুইটার, স্ন্যাপচ্যাট ,ইমো ,আর টিকটক এর মতো আ্যপে সীমাহীন আসক্তির পরিধিতে অবধারিত ভাবেই ঢুকে যাচ্ছে আট থেকে আশি বয়সের সকলেই। ভার্চুয়াল দুনিয়ায় দুর্নিবার আকর্ষণে খেই হারাচ্ছে গোটা দুনিয়া। আমরা সবাই যেন আজ সোশ্যাল মিডিয়ার স্রেফ দাসত্ব করে চলেছি।
বর্তমান যুগে একটি মাত্র স্মার্টফোন বসিয়েছে সবকিছুতে বিশাল থাবা। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক এমনকি সামাজিক জীবন কেউ এক অশুভ অবগাহনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে এই ছোট আয়তাকার ডিভাইসটি। তাই ভয়াল আশংকার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে একটি মাত্র বাক্য- ‘সোশ্যাল মিডিয়া আশীর্বাদ না অভিশাপ’।
আমরা আজকাল আমাদের ফোন খুললেই নানান রকমের ঘটনা শুনতে পেয়ে থাকি। তার মধ্যে এই ভিডিওটি হচ্ছে একটি অন্যতম ভিডিও। যেখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি একটি ‘ককাটিয়েল’ পাখি সুর দিয়ে গান করছে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে পাখিটি একনাগাড়ে গান গেয়ে যাচ্ছে মেঝেতে দাঁড়িয়ে এবং কেউ একজন তার সেই গানের ভিডিও করছে।
পাখিটির গায়ের রং পুরো সাদা খালি তার মাথার কাছটা হলুদ। আর যদি ভালো করে দেখা যায় তবে পাখিটির চোখের নিচে টায় দুদিকেই একটি কমলা রঙের চিহ্ন রয়েছে। আর পাখিটির লেজের কাজটা একটু খানি লাল রং রয়েছে আর বাদবাকি পুরোটাই পাখিটি সাদা রংঙের। পাখিটি পুরো ভিডিওটিতে গান করেই যাচ্ছে তার পাখনা গুলোকে একটুখানি খোলা রেখে।
পাখিটি এত সুন্দর ভাবে গানটা করছে যে তার গান শুনে সবাই মুগ্ধ হয়ে যাবে। ভিডিওটিতে যে পাখিটি আমরা দেখতে পাচ্ছি সেই পাখিটির নাম হল ‘ককাটিয়েল পাখি’। এই ককাটিয়েল পাখি’ টি হল মূলত কাকাতুয়া পরিবারের একটি পাখি। এই ধরনের পাখি গুলিকে মূলত ককাটিয়েলকে ক্যারিওন এবং অন্য নামেও ডাকা হয়। বাংলাদেশে এই পাখিটি কে ‘ককাটেল’ বা ‘ককাটেল পাখি’ নামেই বেশি ডাকা হয়।
‘ককাটিয়েল পাখি’ মূলত অস্ট্রেলিয়া অঞ্চলের এন্ডেমিক প্রাণী, আর এই পাখিটির বৈজ্ঞানিক নাম হলো ‘Nymphicus hollandicus’। এই ককাটিয়েল পাখিটির জীবন কাল হলো ১০ থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত । যেসব অঞ্চলে মরু বিস্তৃত অনুর্বর ভূমি বা কিছুটা শুষ্ক বিস্তীর্ণ ভূমি আছে, সেসব অঞ্চলে এদের বেশি দেখা গেলেও সব সময় জলের কাছাকাছি থাকে।
এরা মূলত যাযাবর শ্রেণীর পাখি। যেখানে খাবার আর জলের প্রাচুর্য সেখানে উড়ে যেতে এরা সময় নেয় না। প্রকৃতিতে ককাটিয়েল পাখিকে জোড়া বা ছোট ঝাঁক হিসেবে দেখতে পাওয়া যায়। তাহলে এই ভিডিওটিতে আমরা দেখতে পেলাম একটি ককাটিয়েল পাখির অপূর্ব সুন্দর ভাবে সে গান করছে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে সে এক নাগাড়ে গান করেই যাচ্ছে।