তিনতলা থেকে কাপড় বেঁধে যেভাবে নিচে নামেন মমতাজ
ঢাকায় গিয়েছেলেন গোলাম রহমান- মমতাজ বেগম (ষাটোর্ধ্ব) দম্পতি। চিকিৎসা শেষে বরগুনার বামনা উপজেলায় নিজ বাড়িতে ফেরার জন্য এমভি অভিযান -১০ লঞ্চের ৩৬০ নম্বর কেবিনে করে ফিরছিলেন।
বরিশাল- চাঁদপুর যাত্রী উঠানামার পর ঝলকাঠির সুগন্ধা নদীতে এসে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মুহুর্তে আগুন ছড়িয়ে পরে লঞ্চের দুই তৃতীয়াংশে।
তারা দুজনে দৌড়ে কেবিন থেকে বেড় হয়ে সিঁড়ির কাছে গিয়ে দেখেন গেট বন্ধ। অনেক ধাক্কাধাক্কি করেও তারা গেট খুলতে না পেরে তিনতলার রেলিংয়ে মমতাজের শাড়ি বেঁধে স্বামী গোলাম রহমান তাকে কোনোমতে দ্বিতীয় তলায় নামান। পরে তিনি নিজেও ওই শাড়ি বেয়ে দ্বিতীয় তলায় নামেন।
বৃদ্ধ অসুস্থ স্ত্রীকে দ্বিতীয় তলা থেকে নিচে জলে ফেলে দিয়ে নিজেও লাফ দিয়ে স্ত্রীকে ধরে কোনোমতে তীরে ওঠেন। এতে স্ত্রী মমতাজ বেগমের কোমরে এবং মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পান। স্থানীয়রা তাকে গরম কাপড় দিলে তারা দুজনেই গ্রামের বাড়ি বামনায় ফিরে আসেন। তারা বর্তমানে বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ৯৫ জনের বেশি দগ্ধ যাত্রীকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বরিশাল মেডিক্যালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মিজানুর রহমান জানান, শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত দগ্ধ আট শিশুসহ ৬৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে এসেছেন।