আলোচিত সংবাদ

লঞ্চে আগুন, জানাজায় মানুষের ঢল

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে অভিযান-১০ লঞ্চে দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে চার জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে আরো পাঁচ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

বাকি বাকি ৩২ লাশ বরগুনা জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করেছে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন। এর মধ্যে দুই জনের লাশ শনাক্ত হয়েছে। শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় বরগুনা সার্কিট হাউস মাঠে জানাজা সম্পন্ন হয়।শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) বরগুনার সার্কিট হাউজের ঈদগাঁ মাঠে ৩০ জনের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। সেখান থেকে ২ জনের মরদেহ নিয়ে গিয়েছে তাদের পরিবার। বাকি ২৮ জনকে গণকবর দেওয়া হবে নাকি পরিবার নিয়ে যাবে সেটা এখনও জানা যায়নি। জানাজা নামাজে উপস্থিত ছিলেন হাজার হাজার মানুষ।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির, পৌর মেয়র কামরুল আহসান মহারাজসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। জানাজা শেষে মরদেহগুলো সদর উপজেলার পোটখালী গ্রামের সরকারি গণকবরে দাফন করা হবে।

এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন। শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাজমুল আলমকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়। জেলা প্রশাসক জহোর আলী বলেন, ওই কমিটিতে আরও চার জন রয়েছেন। ইতোমধ্যে কমিটি তাদের কর্মকাণ্ড শুরু করেছেন। কমিটিকে লঞ্চ দুর্ঘটনার কারণ এবং কীভাবে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে এসব জানাতে বলা হয়েছে। আর লঞ্চের ইঞ্জিন বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের প্রাথমিক ধারণা কতটা সত্য- তাও বের করতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে নলছিটির সুগন্ধা নদীর পোনাবালীয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের ইঞ্জিন রুম থেকে আগুন লাগে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭০ জন। ঢাকায় পাঠানো হয়েছে ১৬ জনকে। আহত হয়েছেন শতাধিক।

Related Articles

Back to top button
error: Alert: Content is protected !!