এই রকম ফোন তো একদিন আসেনি, আরও অনেক ফোন আসতো: মাহি
বর্তমান সময়ে দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি। সম্প্রতি ওমরাহ করে দেশে ফিরেছেন। এসেই ব্যস্ত কাজ নিয়ে। ‘কাগজের বউ’ সিনেমাটি তার করার কথা ছিলো। কিন্তু সেটি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। সবাই ভাবছিলেন, মাহি হয়তো আর সিনেমায় ফিরবেন না।
স্বামী-সংসার নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়বেন শোবিজকে বিদায় জানিয়ে। সব গুঞ্জনে জল ঢেলে দিয়ে গতকাল সোমবার বিএফডিসিতে ‘বুবুজান’ চলচ্চিত্রের শুটিং করলেন ঢালিউডের ‘অগ্নি’।এদিন শুটিংয়ের ফাঁকে একান্ত এক সাক্ষাৎকারে মাহির
কাছে জানতে চাওয়া হয়, ওমরাহ করতে গেলেন। দেশে ফিরেই একটি সিনেমা ছেড়ে দেয়া। চারদিকে শোবিজ ত্যাগ করার গুঞ্জন। আবার শুটিংয়ে এলেন। এ বিষয়টি নিয়ে জানতে চাই?জবাবে মাহি বলেন, ‘আমি তো কোথাও বলিনি সিনেমা বা শোবিজ ছেড়ে দেয়ার কথা। সিনেমা কেন ছাড়বো? প্রশ্নই আসে না। সিনেমায় অভিনয় করার জন্যই সবাই আমাকে চেনে ও জানে। আমি নিয়মিতই অভিনয় করবো। তবে আমার পরিবার আপত্তি করবে বা বিব্রত হবে এমন কোনো কাজ করবো না। একটু চুজি হতে চেষ্টা
করবো।’তিনি আরও বলেন, ‘ওমরাহতে যাওয়ার দুই দিন আগেও শুটিং করেছি। যেদিন ওমরাহ হজে যাবো তার আগের রাত ২টা পর্যন্ত একটা সিনেমার ডাবিং করেছি। কোনো পরিচালককে তো সমস্যায় ফেলে দিয়ে যাইনি। মাঝে ১৫ দিনের মতো একটা গ্যাপ ছিল। সেই ফাঁকে গিয়েছিলাম। এটা আমার ব্যক্তিগত প্রশান্তির জন্য যাওয়া।’এ সময় জানতে চাওয়া হয়, সাম্প্রতিক অডিও ফাঁস কেলেঙ্কারি সারাদেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। আপনাকে নিয়ে নানা কথাবার্তা ছড়িয়েছে?জবাবে মাহি বলেন, ‘ওই বিষয়টা নিয়ে
কোনো কথা বলব না। অনেক কথা আমিও শুনেছি। যে যেমন বুঝে সে তেমন বলবে। কিছু করার নেই। আমার তো পরিবার আছে। কি রিয়্যাক্ট করতাম তখন! একটা মাতাল মানুষ, তার সঙ্গে কথা বাড়ানো তো বোকামো। এই রকম ফোন তো একদিন আসেনি, আরও অনেক ফোন আসতো। আমার কাছের মানুষদের সঙ্গে শেয়ার করতাম। তাদের একটা ভয় কাজ করতো। চুপ থাকতে বলতেন।
এভাবেই পাশ কাটিয়ে গিয়েছি। দেখেন আমি তখন ফেসবুকে লাইভে আসতে পরতাম। হইচই হতো। কিন্তু আমার ইমেজ, পরিবারের ইমেজ ও নিরাপত্তার বিষয়টিও তো দেখতে হয়। যে খারাপ সে তার শাস্তি পেয়েছে।’তিনি আরও বলেন, ‘আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চির কৃতজ্ঞ। তিনি বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন আর সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছেন। এটাও একটা দৃষ্টান্ত।’এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার বিষয়ে মাহি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তো রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কাজে বিজি থাকেন। উনার সঙ্গে চাইলেই হুট করে দেখা করা যায় না। দেখা করাটা একটা লম্বা প্রসেস। আশা করি দেখা হবে।’