এই কষ্টটা যেন আমি সহ্য করতে পারি: শামীম ওসমান
ফতুল্লার মাসদাইর কবরস্থানে নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানের বাবা এ কে এম সামসুজ্জোহা, মা নাগিনা জোহা, বড় ভাই নাসিম ওসমান,
দাদী আমিরুন নেচ্ছা বেগম ও আয়ানাবুন নেচ্ছা বেগমসহ অন্যান্য স্বজনদের কবর পার্শ্ববতী শ্মশানের মাটি দিয়ে ভরাট করার ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনাকে উল্লেখ করে শামীম ওসমান বলেছেন, আজকে বক্তব্য দিব না এ কারণে- আমার শরীর ভালো আছে কিন্তু মনের অবস্থা ভালো না। কারণ রাজনীতি এমন একটা জিনিস, রাজনীতি অনেক নিষ্ঠুর আবার রাজনীতি অনেক দয়ালু হয়।
মাস তিন-চারেক আগে নারায়ণগঞ্জ কবরস্থানে একটা ঘটনা ঘটেছিল। আমি কাউকে দায়ী করিনি। মনে করেছি হয়তো ইবলিশ নয়তো শয়তান করেছে।শুক্রবার রাতে ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের পূর্বরাজাপুর এলাকায় আহমাদিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, শ্মশানের মাটি দিয়ে আমার আব্বা-আম্মা ও বড়ভাইসহ মুক্তিযোদ্ধাদের কবরগুলো ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। আমি সেখানে দাঁড়িয়ে দরুদ শরীফ পর্যন্ত পড়তে পারছিলাম না। আমার আব্বা-আম্মা বড় ভাইয়ের মৃত্যুতে যতটুকু কাঁদিনি, সেদিন তারচেয়েও বেশি কেঁদেছিলাম। এ বিষয়ে আমি কারও সঙ্গে বিরোধ করিনি।
কাউকে দোষীও করিনি। কিন্তু তার পরের দিন দেখলাম একটা সংস্থা চিঠি ইস্যু করেছে কাজটা নাকি আমিই করেছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এই কষ্টটা যেন আমি সহ্য করতে পারি।এ সময় ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী আলহাজ মো. ফরিদুল হক খান বলেন, আমি তাবলিগের সাথী। তাবলিগ দুই ভাগে বিভক্ত থাকবে না। তাবলিগে এখন যে ব্যবধানটা দেখছেন যেমন দুই ভাগে বিভক্ত, এগুলো থাকবে না। জ্ঞানের বুঝ আল্লাহতালা যখন দিবেন অবশ্যই এর সমাধান করবেন। অনুষ্ঠানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাসহ আলেম ওলামারা উপস্থিত ছিলেন।