স্ত্রীর সহযোগিতার কারণে আমি এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি: মিশা
বাংলা চলচ্চিত্রের অত্যন্ত প্রভাবশালী একজন খল অভিনেতা মিশা সওদাগর। তিনি রেকর্ড আট শতাধিক ছবিতে ভিলেন হিসেবে অভিনয় করেছেন। এত সংখ্যক ছবিতে ঢালিউডের আর কোনো অভিনেতাই অভিনয় করেননি।
অভিনয় প্রতিভা দিয়ে দুই বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও জিতেছেন মিশা। একবার শ্রেষ্ঠ খল অভিনেতা বিভাগে, আরেকবার শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনেতা বিভাগে।প্রায় ৩২ বছরের অভিনয় জীবনে নিজেকে কিংবদন্তি হিসেবেই তুলে ধরেছেন তিনি। ব্যক্তিজীবনেও দুই সন্তান নিয়ে তার সুখী পরিবার। মিশা সওদাগরের বড় ছেলে হাসান মোহাম্মদ ওয়ালিদ আমেরিকায় পড়াশোনা করছে। ছোট ছেলে ওয়াইজ করণী এবার রাজধানীর স্কলাস্টিকা স্কুল থেকে ‘ও লেভেল’ পরীক্ষা দেবে।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন এই অভিনেতা। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিন যুগ অতিক্রম করছেন চলচ্চিত্র অঙ্গনে। কেমন লাগছে আপনার? কেমন ছিল এই সুদীর্ঘ যাত্রাটা?
মিশা সওদাগর বলেন, এটা তো একটা লম্বা কাহিনি। এটা সংক্ষিপ্ত সময়ে বলা সম্ভব নয়। প্রথমে উপর ওয়ালাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাবো। পাশাপাশি সিনেমা, পরিচালক প্রডিউসার, পরিবেশক এবং যারা সিনেমা দেখেন, মানে আমার প্রিয় ভক্ত-অনুরাগী তাদের প্রত্যেকের প্রতি ভালোবাসা জানাবো। তাদের সবার ভালোবাসা আমার প্রতি ছিল, আছে থাকবে বলে আমি মনে করি। নির্মাতা ও পরিচালকদের আমার প্রতি বিশ্বাস ছিল, তারা আমার ওপর কাজের আস্থা রেখেছেন, সেই সঙ্গে আমি সুস্থ ছিলাম এটা আমার জন্য বড় প্রাপ্তি।
তিনি বলেন, আমার স্ত্রীর আমার প্রতি অনেক সহযোগিতা ছিল বলে আমি আজ এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি। সবার ভালোবাসায় মিশা সওদাগর হতে পেরেছি। সব শেষে বলবো এ পর্যন্ত আসা একটা কঠিন জার্নি হলেও আমি সব মিলিয়ে অনেক হ্যাপি, অনেক আনন্দিত। আমার অভিনয় জীবন নিয়ে আমি তৃপ্ত।